বাংলাদেশ অনলাইন নিউজ পোর্টাল এসোসিয়েশন (বনপা)’র নিবেদিত প্রাণ সদস্যদের বিভ্রান্ত্র করার জন্য একটি অশুভচক্র নতুন করে অপতৎপরতা শুরু করেছে । চক্রান্তকারীদের বিরুদ্ধে বনপা’র সকল সদস্যদেরকে একযোগে রুখে দাঁড়ানোর জন্য আহ্বান জানিয়েছেন বনপা’র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শামসুল আলম স্বপন, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আকতার চৌধুরী, সহ-সভাপতি নির্মল বড়ুয়া মিলন, মুহিত চৌধুরী, রাজু আহমেদ দিপু, মিজানুর রহমান হেলাল ,তারেকুজ্জামান খান, সি.যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জি. রোকমুনুরজামান রনি, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. মুজাহিদুল ইসলাম, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সরকার রুহুল আমীন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জুঁই চাকমা, এম,সাইফুর রহমান তালুকদার, প্রদীপ বড়ুয়া জয়, ওয়ালী উল্লাহ খান, প্রকৌশলী রায়হানুল ইসলাম,সেলিম ভান্ডারী, খলিল উদ্দিন ফরিদ, প্রদীপ ঘোষাল তপু, সদস্য সুলাইমান মেহেদী হাসান, মোকতাদের আজাদ খান, বিপ্লব চাকমা সহ সকল কর্মকর্তা ও সদস্যগণ।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ উল্লেখ করেন গত ২১ আগষ্ট-২০১৫ নির্বাচনের মাধ্যমে বনপা’র জাতীয় কমিটি গঠিত হয়। কিন্তু ২৫ আগষ্ট-২০১৫ ক্ষমতালোভী সুভাষ সাহা বনপাকে কুক্ষিগত ও ভাঙ্গার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হন। লিখিত ভাবে অভিযোগ পাওয়ার পর ২৬ আগষ্ট বনপা’র গঠনতন্ত্র মোতাবেক বনপা’র নির্বাহী কমিটির সভায় সুভাষ সাহাকে তার পদ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয় এবং তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ তদন্তের জন্য কমিটি গঠন করা হয়। ১ সেপ্টেম্বর তদন্ত কমিটি সুভাষ সাহার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ তদন্তের জন্য তাকে নোটীশ দেন । কিন্তু তিনি উপস্থিত না হয়ে বনপা’র গঠনতন্ত্র লংঘন করেন । একই দিন তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে বনপা’র নির্বাহী কমিটির জরুরী সভায় বনপা’র গঠনতন্ত্রের ১৩নং ধারার (গ) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সর্বসম্মতিক্রমে বনপা’র সাধারণ সদস্য ও সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে সুভাষ সাহাকে স্থায়ী ভাবে বহিষ্কার করা হয়। ওই দিন থেকে সুভাষ সাহার সাথে বনপা’র কোন সম্পর্ক নেই । এরপরও আমরা লক্ষ্য করছি স্থায়ী ভাবে বহিষ্কৃত সুভাষ সাহা ও তার দুই দোসর এইচ এম তারেক ও এম.আলী হোসেন নিলর্জ্জের মত বনপা’র পদ আঁকড়ে থাকার ব্যর্থ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। সম্প্রতি তারা ‘বনপা সেন্ট্রাল’ নামে ভূয়া ই-মেইল আইডি খুলে মাঝে মধ্যে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়াচ্ছে ।
আমরা বিশ্বাস করি বনপাকে যারা মনপ্রাণ দিয়ে ভালো বাসেন তারা ক্ষমতালোভী সুযোগ-সন্ধানীদের খপ্পরে পড়বেন না বরং অশুভচক্রের বিরুদ্ধে রুঁখে দাঁড়াবেন । বিগত সাড়ে তিন বছর বনপা’র মাধ্যমে আন্দোলন করে অনেক ঘাত-প্রতিঘাত প্রতিরোধ করে আমরা নিউজ পোর্টাল মালিকদের জন্য বয়ে এনেছি অনেক সাফল্য । এই অর্জন টুকু কুচক্রিমহলের ষড়যন্ত্রে ম্লান হতে দেয়া যায় না। তাই আমরা বনপা’র আইনজীবির পরামর্শক্রমে বনপা’র নাম চোরদের বিরুদ্ধে গত ২২ ডিসেম্বর-২০১৫ সালে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পত্র প্রেরণ করেছি । আমরা চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলতে চাই বনপা থেকে বহিষ্কৃতরা কোন দিনই বনপা’র মালিক হতে পারবে না। বনপা’র সদস্যদের জ্ঞাতার্থে প্রেরিত পত্রের কপি প্রকাশ করা হলো।
........................................................................................................
তারিখ : ২২/১২/২০১৫ ইং
বরাবর,
মাননীয় সচিব
বানিজ্য মন্ত্রণালয়
বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা ।
বিষয় : বাংলাদেশ অনলাইন নিউজ পোর্টাল এসোসিয়েশন (বনপা) সংগঠনের নাম চুরি করে প্রতারণার মাধ্যমে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের চেষ্টা প্রসঙ্গে।
মহোদয়,
সম্মান সহকারে সদয় অবগতি ও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য আপনাকে জানাতে বাধ্য হচ্ছি যে, ২০১২ সালের আগষ্ট মাসে তথ্যমন্ত্রণালয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল নিবন্ধনের জন্য ৫ লক্ষ টাকা জামানত এবং ৫০ হাজার টাকা প্রতি বছর নিবন্ধন ফি ধার্য্য করে একটি সার্কুলার জারি করে। সার্কুলারটি সংবিধান পরিপন্থি হওয়ায় ( যেহেতু প্রিন্ট পত্রিকা ডিক্লিয়ারেশনে কোন টাকা লাগে না) আমরা প্রতিবাদ করি । আমি ২০১২ সালের ১৫ অক্টোবর জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে দেশের ৬৪ জেলার অনলাইন নিউজ পোর্টাল মালিক/ সম্পাদকদের আহ্বান জানালে ৫ শতাধিক নিউজ পোর্টাল মালিক উপস্থিত হন। উক্ত সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন মাননীয় তথ্যমন্ত্রী জনাব হাসানুল হক ইনু। মন্ত্রী মহোদয়ের উপস্থিতিতে আমার প্রস্তাবে “ বাংলাদেশ অনলাইন নিউজ পোর্টাল এসোসিয়েশন (বনপা)” নামে নিউজ পোর্টাল মালিকদের জাতীয় সংগঠনের জন্ম হয় এবং আমাকে সভাপতি ও ভয়েস অব বাংলার সম্পাদক মিজানুর রহমান হেলালকে সাধারণ সম্পাদক করে ৪১ সদস্য বিশিষ্ট জাতীয় কমিটি গঠন করা হয়। ওই সভাতে আমরা মন্ত্রী মহোদয়ের কাছে দাবি জানায় যেহেতু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার সৈনিক হিসেবে আমরা নিজেদের পকেটের টাকা দিয়ে অনলাইন পত্রিকা চালাচ্ছি সেহেতু নিউজ পোর্টাল নিবন্ধনে আমরা সরকারকে কোন টাকা দিতে পারবো না । তথ্যমন্ত্রী আমাদের দাবির সাথে একমত পোষণ করেন এবং “ অনলাইন গণ-মাধ্যম নীতিমালা বাস্তবায়ন
কমিটি” নামে ১৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করেন ।
সেই কমিটিতে বনপা’র সভাপতি হিসেবে আমাকে সদস্য করা হয়। আন্দোলন ছাড়াও উক্ত কমিটির মাধ্যমে ২০১৪ সালের ৫-৭ এপ্রিল ৩৮ জন এবং ১৩ -১৫ মে ৩৫ জন নিউজ পোর্টালের সম্পাদককে আমরা পিআইবি থেকে অনলাইন সাংবাদিকতা বিষয়ের উপর প্রশিক্ষণ প্রদান করি। এতে সংগঠনের সুনাম বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং সদস্য সংখ্যা বাড়তে থাকে। আমরা আন্দোলন করে আমাদের দাবি আদায় করতে সক্ষম হয়েছি। এখন দেশের ৬৪ টি জেলায় এই সংগঠনের কমিটি রয়েছে। ২০১৫ সালের ২১ আগষ্ট সংগঠনের জাতীয় কমিটির দ্বিবার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত নির্বাচনে আমি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পুনরায় ২ বছরের জন্য সভাপতি নির্বাচিত হই।
উক্ত সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও সদস্যদের নিয়ে আমরা জাতীয় সংসদের মাননীয় স্পীকার ড. শিরিন শারমীন চৌধুরী, তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রী জনাব স্থপতি ইয়াফেস ওসমান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা জনাব
ইকবাল সোবহান চৌধুরীর মতবিনিময় করি এবং তাদের মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার রূপকার জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে সমর্থন ও ধন্যবাদ জানায়।
২০১৪ সালে সংগঠনটি “ট্রেড অর্গানাইজেশন” আওয়তায় আমরা সরকারি ভাবে অনুমোদনের জন্য “জয়েন্ট ষ্টোক কোম্পানীজ এন্ড ফার্মস” থেকে “বাংলাদেশ অনলাইন নিউজ পোর্টাল এসোসিয়েশন (বনপা)”ছাড়পত্র গ্রহন করি। কিন্তু নানা বিধ কারণে আমরা নির্ধারিত তারিখের মধ্যে সরকারি অনুমোদন করাতে পারিনি। নামের ছাড়পত্রের মেয়াদ ছিল ২০১৫ সালের ৩১ অক্টোবর । ২০১৫ সালের ১লা নভেম্বর আমরা ব্র্যাক ব্যাংকের হিসাব নং ১৫১৩২০১৬৫৮৭৬৬০০১ এর মাধ্যমে নগদ ৬০০/- টাকা জমা প্রদান করি। ( টাকা জমাদানকারী বেলায়েত হোসেন বেলাল : ২০১৫৫২২৯১৭ ) কিন্তু রিজেক্ট হয়।
আমরা পরবর্তীতে জানতে পারি অনৈতিক কর্মকান্ড ও সংগঠন বিরোধী কাজের সাথে লিপ্ত থাকার দায়ে বনপা থেকে বহি:ষ্কৃত নারায়ণগঞ্জের টানবাজার এলাকার মৃত সুরেশ চন্দ্র সাহার ছেলে সুভাষ সাহা তার দোসর এইচ,এম,তারেক, এম.আলী হোসেন ও বিএনপি-জামায়াত জোটের কতিপয় পোর্টাল মালিক নিয়ে সংগঠনের ক্ষতিসাধন করার হীন মানসিকতায় গোপনে আমাদের আগে টাকা জমা দিয়ে “জয়েন্ট ষ্টোক কোম্পানীজ এন্ড ফার্মস” থেকে “বনপা” নামের ছাড়পত্র নিয়ে ফেসবুক ও তাদের নিজস্ব নিউজ পোর্টালের মাধ্যমে সদস্যদের মাঝে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে ।
অনৈতিক কর্মকান্ড ও সংগঠন বিরোধী কাজের সাথে লিপ্ত থাকার দায়ে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে চির বহি:ষ্কৃত সুভাষ সাহা হঠাৎ করে নিজেকে সংগঠনের সভাপতির পরিচয় দিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে সংগঠন নিবন্ধনের কথা বলে বিভিন্ন জনের কাছে মোটা অংকের টাকা দাবি করছে বলে আমাদের কাছে অভিযোগ আসছে ।
অতএব জনাব সমীপে আবেদন প্রতারক চক্রটি যাতে আপনাকে ভুল বুঝিয়ে আপনার দপ্তর হতে অনলাইন নিউজ পোর্টাল মালিকদের দাবি আদায়ের প্রিয় সংগঠন “ বাংলাদেশ অনলাইন নিউজ পোর্টাল এসোসিয়েশন (বনপা)” অনুমোদন নিতে না পারে এবং “জয়েন্ট ষ্টোক কোম্পানীজ এন্ড ফার্মস” থেকে “বনপা” নামের ছাড়পত্র চুরি করার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করতে মর্জি হয়।
বিনীত নিবেদন
সভাপতি / সাধারণ সম্পাদক
বাংলাদেশ অনলাইন নিউজ পোর্টাল এসোসিয়েশন (বনপা)
সদয় অবগতি ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য অনুলিপি প্রেরিত হলো :
১. মাননীয় বানিজ্যমন্ত্রী, গণ-প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার,ঢাকা।
২. মাননীয় মহাপরিচালক,এনএসআই, সেগুন বাগিচা,ঢাকা।
৩. মাননীয় রেজিষ্টার, জয়েন্ট ষ্টোক কোম্পানীজ এন্ড ফার্মস,কাওরান বাজার,ঢাকা।
৪. মাননীয় ডাইরেক্টর,ট্রেড অগানাইজেশন, ঢাকা ।
সংযুক্তি : আবেদন পত্রের স্বপক্ষে কাগজপত্র ২৪ ফর্দ।